সহজে এবং দ্রুত ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৩
চলাচল করার জন্য আমরা অনেক ধরণের যানবাহন ব্যবহার করে থাকি। হাইওয়েতে যানবাহন চালাতে চাইলে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম নিয়ে আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সময় অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। এসকল ঝামেলা পেড়িয়ে কীভাবে দ্রুত সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন সে বিষয় জানতে পারবেন পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে।
মোটরসাইকেল কিংবা চার চাকার গাড়ি চালাতে হলে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ট্রাফিক পুলিশ এটি নিশ্চিত করতে পারেন যে, আমরা গাড়ি কীভাবে নিরাপদভাবে চালাতে হয় তা শিখেছি। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া রাস্তায় গাড়ি চালাতে গেলে পুলিশের হাতে ধরা খাওয়া থেকে শুরু করে কেস খাওয়া অব্দি অনেক ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়।
তাই, এই সকল সমস্যায় যেন আমাদের পড়তে না হয়, এজন্য আমাদের সকলের উচিত ড্রাইভিং লাইসেন্স করা। অনেকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান, কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম জানেন না। তো চলুন, ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া যাক।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার শর্ত
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বে আমাদের কিছু শর্ত মানতে হবে। এসব শর্ত না মানলে ড্রাইভিং লাইসেন্স টেস্ট এর জন্য আমরা কোয়ালিফাই করতে পারবো না। তো চলুন, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার শর্তসমূহ কী কী জেনে নেয়া যাক।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার আগে অবশ্যই লার্নার বা শিক্ষানবিশ লাইসেন্স পেতে হবে।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য অবশ্যই আবেদনকারীকে ৮ম শ্রেনি পাশ হতে হবে।
- অপেশাদার বা সাধারণ ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আবেদনকারীকে নুন্যতম ১৮ বছর বয়সী হতে হবে। পেশাদার লাইসেন্স পেতে হলে আবেদনকারীকে ২১ বছর বয়সী হতে হবে।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই মানসিক এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ হতে হবে।
উপরোক্ত শর্তগুলো মেনে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করলে তবেই আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য অনুমোদন পাবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স কত প্রকার
ব্যবহার ভেবে এবং প্রয়োজনের দিক থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে। ড্রাইভিং লাইসেন্স সাধারণত ৩ প্রকার। এগুলো হচ্ছে,
- শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স
- আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স
- স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স
উপরোক্ত তিন প্রকার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আলাদা আলাদা শর্ত এবং ডকুমেন্ট প্রযোজ্য। এই তিন প্রকার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম নিয়ে নিচে আরও বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে দিয়েছি।
নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৩
শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স সবথেকে প্রাইমারি একটি লাইসেন্স। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া আমরা মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স বা স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবো না। মোটরগাড়ি চালানোর জন্য এই ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হয়।
এই লাইসেন্সটি দিয়ে ড্রাইভিং সম্পূর্ণ ভাবে শিখে ফেললে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করা এবং লাইসেন্স সংগ্রহ করা যাবে। লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করার জন্য কী কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে তা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি।
শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
নিম্নে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য যেসব প্রয়োজনীয় কাগজ লাগবে তার একটি তালিকা উল্লেখ করে দিয়েছি।
- শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন ফরম
- যে ব্যক্তি আবেদন করবেন তার ৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি এবং ০১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রাপ্ত মেডিকেল সার্টিফিকেট
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি
- বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংকে নির্ধারিত পরিমাণ ফি জমাদানের রশিদ
- বিদ্যুৎ বিল বা ইউটিলিটি বিল এর একটি কপি
- ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার ক্ষেত্রে পূর্বের ড্রাইভিং লাইসেন্স বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর তথ্য
শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম
শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য একটি আবেদন ফরম প্রয়োজন হবে। যেখানে আবেদনকারী ব্যক্তির সকল তথ্য উল্লেখ করতে হবে এবং আবেদনের সঙ্গেই ছবি যুক্ত করে দিতে হবে। নিম্নে উক্ত আবেদন ফরমটি সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম
শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করার পূর্বে উপরে সংযুক্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন ফরমটি সেভ করুন এবং নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো মনোযোগ দিয়ে অনুসরণ করুন।
ধাপ ১ – উপরোক্ত ফরমটি প্রিন্ট করে নিয়ে এসে প্রথম পেজটি আপনার সকল তথ্য দিয়ে পূরণ করুন।
ধাপ ২ – দ্বিতীয় পেজটি রেজিস্টার্ড কোনো ডাক্তারকে দিয়ে পূরণ করিয়ে নিন এবং অবশ্যই তার স্বাক্ষর নিবেন।
ধাপ ৩ – আবেদন ফরমের সাথে নির্ধারিত পরিমাণ ফি, বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দেয়ার রশিদ যুক্ত করে দিতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি যুক্ত করে দিতে হবে। বিদ্যুৎ বিলের কপি বা ইউটিলিটি বিলের কপি যুক্ত করে দিতে হবে।
এরপর, উক্ত আবেদন ফরমটি বিআরটিএ অফিসে গিয়ে জমা দিন। জমা দেয়ার পর তারা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট তারিখ দিবে। সেই তারিখের মাঝে আবারও বিআরটিএ অফিসে গিয়ে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং আবেদন ফরমটি সংগ্রহ করতে হবে। এরপর, উক্ত আবেদন ফরমটি বিআরটিএ থেকে একটি নির্দিষ্ট কক্ষে বসে থাকা কর্মচারীকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নিতে হবে এবং আবেদন ফরম ও লাইসেন্সটি রিসিপশন বুথে জমা দিতে হবে।
এরপর, শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সটি রিসিপশন থেকে নিতে পারবেন। এরপর, এই লাইসেন্স পরবর্তী ৩ মাস ব্যবহার করে ড্রাইভিং এর প্রশিক্ষন নিতে হবে এবং প্রশিক্ষন নেয়া শেষ উক্ত লাইসেন্স ব্যবহার করেই স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হবে এবং সংগ্রহ করতে হবে।
স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স
শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করা যায়। এই ড্রাইভিং লাইসেন্সটি আসল ড্রাইভিং লাইসেন্স। যা ব্যবহার করে আপনি বাংলাদেশের যেকোনো রাস্তায় পেশাদার বা অপেশাদার এবং সাধারণ ভাবে মোটরগাড়ি চালাতে পারবেন। শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মতোই স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন। এগুলো নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি।
স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ লাগবে। এগুলো হচ্ছে –
- স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম
- শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মূল কপি এবং ফটোকপি
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি
- রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রাপ্ত মেডিকেল সার্টিফিকেট
- বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংকে নির্ধারিত পরিমাণ ফি জমাদানের রশিদ
- পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ক্ষেত্রে পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন
- আবেদনকারী ব্যক্তির সদ্য তোলা ০১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
শিক্ষানবিশ লাইসেন্স বা লার্নার লাইসেন্স প্রাপ্তির পর ড্রাইভিং এর প্রশিক্ষন নিতে হয়। প্রশিক্ষন নেয়ার পর একটি পরিক্ষা দিতে হয়। পরিক্ষায় মৌখিক, লিখিত এবং ব্যবহারিক পরিক্ষা দিতে হয়। সাধারণত লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স নেয়ার ২-৩ মাস পর পরিক্ষা নেয়া হয়ে থাকে। পরিক্ষা পদ্ধতি নিম্নে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।
০৩ টি ধাপে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পরিক্ষা নেয়া হয়ে থাকে। এগুলো হচ্ছে –
- প্রথমে লিখিত পরিক্ষা নেয়া হবে। সঙ্গে অবশ্যই একটি কলম নিয়ে যাবেন। পরিক্ষায় গাড়ি ড্রাইভিং এবং গাড়ি সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন থাকবে। সব প্রশ্নের উত্তর করতে হবে এবং পরিক্ষায় পাশ করার জন্য ৬৬% মার্ক পেতে হবে।
- লিখিত পরিক্ষা হওয়ার পর মৌখিক পরিক্ষা দিতে হবে। মৌখিক পরিক্ষায় রাস্তার পাশে থাকা বিভিন্ন চিহ্ন সম্পর্কে প্রশ্ন করতে হবে। এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
- সর্বশেষে, ব্যবহারিক পরিক্ষা দিতে হবে। অর্থাৎ, গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালিয়ে দেখাতে হবে। প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট বা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালিয়ে দেখাতে হবে। নির্দিষ্ট লাইনে গাড়ি চালানো, পারকিং করা, আঁকা-বাকা রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে দেখাতে হবে।
উক্ত পরিক্ষায় পাশ করলে আপনি স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিচে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত পদ্ধতি আলোচনা করেছি।
স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম অনেক সোজা। শিক্ষানবিশ লাইসেন্স পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আপনি স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিচে পদ্ধতিসমূহ উল্লেখ করে দিয়েছি।
ধাপ ১ – স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম পূরণ করুন আপনার সকল তথ্য দিয়ে। যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে, শুধু সেসব তথ্য পূরণ করবেন। যেসব তথ্য আপনার জন্য নয়, সেগুলো পূরণ করতে যাবেন না।
ধাপ ২ – ফরম পূরণ করা হয়ে গেলে ফরমের সঙ্গে জাতীয় পরিচয় পত্র, আপনার এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ডাক্তারের কাছে থেকে নেয়া সনদ, ফি জমাদানের রশিদ যুক্ত করতে হবে।
ধাপ ৩ – পরিক্ষায় পাশ করেছেন সেই কাগজ সহ আপনার আবেদনের ফরমটি বিআরটিএ অফিসে জমা দিতে হবে। ফরম জমা নেয়ার পর তারা একটি প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ দিবে আপনাকে। প্রাপ্তি স্বীকার রশিদে থাকা টোকেন নাম্বার অনুযায়ী ভিতরে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে নির্দিষ্ট কর্মচারীকে আপনার আবেদন ফরম দিন। সবকিছু যাচাই করার পর তিনি আপনার ছবি, আঙ্গুলের ছাপ এবং স্বাক্ষর নিবেন।
ধাপ ৪ – আপনার থেকে বায়োমেট্রিক তথ্য নেয়ার পর একটি কাগজ প্রদান করবে। সেখানে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করার তারিখ দেয়া থাকবে।
ধাপ ৫ – নির্দিষ্ট তারিখের মাঝেই ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি হয়ে যাবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি হয়ে গেলে আপনার মোবাইলে এসএমএস করে জানিয়ে দেয়া হবে। উক্ত তারিখের মাঝে বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার এবং প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ নিয়ে নির্দিষ্ট লাইনে দাঁড়িয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।
এই হচ্ছে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম। উপরোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন এবং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।
আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম অনুসরন করে আপনি যে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন, সেটি দিয়ে শুধুমাত্র বাংলাদেশের ভিতরের যেকোনো রাস্তায় স্বাধীনভাবে গাড়ি চালাতে পারবেন। কিন্তু, আপনি যদি কোনো কারণে দেশের বাইরে কাজের জন্য কিংবা এমনিতে ঘুরতে যান, তখন গাড়ি চালাতে হলে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হবে। আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম অনুসরণ করে আমরা একটি ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারি। নিচে বিস্তারিত পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি।
আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম
আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে আপনি বিশ্বের যেকোনো দেশের গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন নিশ্চিন্তে। আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য নিচে উল্লিখিত পদ্ধতিসমূহ অবলম্বন করুন।
- স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করুন। আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হলে আপনার একটি স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
- আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন ফরম প্রিন্ট করে নিন এবং ফরমটি আপনার সকল তথ্য দিয়ে পূরণ করে নিন।
- ফরমের সাথে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর সত্যায়িত ফটোকপি, আবেদনকারী ব্যক্তির ৪ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি এবং ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও আপনার পাসপোর্ট এর ১ থেকে ৪ নাম্বার পাতার ফটোকপি সংযুক্ত করুন।
- আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর অফিসে আবেদন ফরম এবং বাকী সকল কাগজপত্র জমা দিন।
- আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফি জমা দিয়ে একটি রশিদ গ্রহণ করুন।
- রশিদে উল্লেখিত তারিখে আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট অফিস থেকে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করুন।
উপরোক্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম অনুসরণ করে যেকোনো ধরণের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে পারবেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কী না এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স এর অবস্থা জানতে পারবেন। অর্থাৎ, আপনি চাইলে ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স চেকিং করার জন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে DL DM5546879 লিখে 6969 নাম্বারে ম্যাসেজ সেন্ড করে দিন। ফিরতি ম্যাসেজে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। DL DM লেখার পর DM এর পাশের সংখ্যার জায়গায় ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম জমা দেয়ার পর প্রাপ্ত রশিদে উল্লিখিত রেফারেন্স নাম্বার লিখবেন।
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ফর্ম-এর জন্য নিচের লিংক-এ ক্লিক করুনঃ
http://www.brta.gov.bd/images/files/formfee/app_for_learners_driving_license.pdf
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফর্ম-এর জন্য নিচের লিংক-এ ক্লিক করুনঃ
http://www.brta.gov.bd/images/files/formfee/latest_dl_form.pdf
ড্রাইভিং লাইসেন্স মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের জন্য নিচের লিংক-এ ক্লিক করুনঃ
http://www.brta.gov.bd/images/files/formfee/brta_application_form_medical_report-1.pdf
সহজিকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রসেস চার্ট
শেষ কথা
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করেছি। এই পোস্টে শিক্ষানবিশ লাইসেন্স করার নিয়ম, স্মার্টকার্ড লাইসেন্স করার নিয়ম এবং আন্তর্জাতিক লাইসেন্স করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে দিয়েছি। পোস্টটি অনুসরণ করে সহজেই একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।