প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ও পরীক্ষা পদ্ধতি ২০২৩
শিক্ষক নিয়োগসারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শুন্য পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। সেই বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারী প্রার্থীদের নিয়োগ পরিক্ষা গ্রহণ করার নির্দেশনা প্রদান করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আজকে আমরা জানবো প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষা পদ্ধতি, ১ম ধাপের পরীক্ষার তারিখ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষার নম্বর বন্টন ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষার ফলাফল দেখার নিয়ম।
একনজরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩
- প্রতিষ্ঠানের নাম: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
- চাকরির ধরন: সরকারি চাকরি
- আবেদনের শুরুর তারিখ: ২৪ জুন ২০২৩ সকাল ১০ টা থেকে
- আবেদনের শেষ তারিখ: ০৯ জুলাই ২০২৩ রাত ১১:৫৯ মিনিট পর্যন্ত
- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: https//dpe.teletalk.com.bd
- পদের নাম: সহকারী শিক্ষক
- পদসংখ্যা: প্রাইমারি উপজেলা ভিত্তিক শূন্য পদ
- পরীক্ষার তারিখ : নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ (সম্ভাব্য)
প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩
শিক্ষাগত যোগ্যতা
সকল বিভাগে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।
বয়সসীমা:
১৮ থেকে ৩০ বছর
বেতন:
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল হল ১৩তম গ্রেড, যার বেতন স্কেল হল ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি আদেশ জারি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৪তম গ্রেড থেকে ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করে।
বেতন স্কেল ছাড়াও, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে:
- বছরে দুটি উৎসব বোনাস
- জিপিএফ ফান্ড
- সন্তানের শিক্ষা ভাতা
- পেনশন
প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন পদ্ধতি:
- আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
- আবেদন ফরম পূরন করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট বা টেলিটক এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে।
- আবেদন ফরম পূরণ করে নির্ধারিত ফি ১১২ টাকা জমা দিতে হবে।
- আবেদনপত্র পূরণ করার পর তা প্রিন্ট করে নিতে হবে।
- আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে ভাইভা পরীক্ষার সময় দেখতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- নাগরিকত্ব সনদ
- অভিজ্ঞতার সনদ (যদি থাকে)
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম ধাপ: লিখিত পরীক্ষা
দ্বিতীয় ধাপ: মৌখিক পরীক্ষা
তৃতীয় ধাপ: স্বাস্থ্য পরীক্ষা
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ উপজেলা ভিত্তিক শূন্য পদের তালিকা
সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনের শর্তাবলী
- আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
- আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- আবেদনকারীকে অবশ্যই সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
প্রার্থী নির্বাচনের নীতিমালা:
- লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে থেকে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীদের নির্বাচন করা হবে।
- মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীদের চূড়ান্তভাবে নিয়োগ প্রদান করা হবে।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষার নম্বর বন্টন
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মোট নম্বর ১০০। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ পদ্ধতি) ৮০ নম্বর এবং মৌখিক পরীক্ষার ২০ নম্বর।
লিখিত পরীক্ষার নম্বর বন্টন নিম্নরূপ:
- বাংলা: ২০ নম্বর
- ইংরেজি: ২০ নম্বর
- গণিত: ২০ নম্বর
- সাধারণ জ্ঞান: ২০ নম্বর
মৌখিক পরীক্ষার নম্বর বন্টন নিম্নরূপ:
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: ৪ নম্বর
- ব্যক্তিত্ব ও প্রকাশ ক্ষমতা: ৪ নম্বর
- সাধারণ জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড: ৪ নম্বর
সার্টিফিকেট এ ভাইভা নম্বর বন্টন
- মৌখিক পরীক্ষায় শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে প্রার্থীর এসএসসি, এইচএসসি এবং স্নাতক/সমমানের পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনা করা হয়। প্রার্থীর এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ বা সমমানের জিপিএ থাকলে ৪ নম্বর পাবেন।
- দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ থাকলে ৩ নম্বর পাবেন।
- তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ থাকলে ১ নম্বর পাবেন।
- স্নাতক/সমমানের পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ বা সমমানের সিজিপিএ থাকলে ২ নম্বর পাবেন। দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের সিজিপিএ থাকলে ১ নম্বর পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের সাথে যোগ করে চূড়ান্ত মেধা তালিকা তৈরি করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষার কেন্দ্র
লিখিত পরীক্ষা আবেদনকারী প্রার্থীর নিজ জেলার সরকারি স্কুল বা কলেজগুলিতে অনুষ্ঠিত হবে। আর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মৌখিক পরীক্ষা জেলার শিক্ষা অফিস বা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, লিখিত পরীক্ষা প্রার্থীদের নিজ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষার তারিখ ২০২৩
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপে মোট ১২ লাখের বেশি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। এই নিয়োগ পরিক্ষা ৮০ নম্বরের লিখিত আকারে গ্রহণ করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ।
অক্টোবর মাসের শেষ দিকে প্রথম ধাপে আবেদন করা রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নিতে চান তারা। একই সঙ্গে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগেই বাকি দুই ধাপের লিখিত পরীক্ষাও শেষ করার লক্ষ্যে কাজ করছে অধিদপ্তর।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রথম ধাপের পরিক্ষার সম্ভাব্য তারিখ আগামী অক্টোবর এর শেষ সপ্তাহে বা নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ।
প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষার ফলাফল ২০২৩
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল দেখার দুটি উপায় রয়েছে:
মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে
প্রার্থীদের আবেদনপত্রে প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে SMS এর মাধ্যমে ফলাফল জানানো হবে। ফলাফল জানতে নিম্নলিখিত SMS পাঠাতে হবে:
PSC <স্পেস> রোল নম্বর
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার রোল নম্বর 123456789 হয় তবে নিম্নলিখিত SMS পাঠাতে হবে:
PSC 123456789
ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে
DPE Result: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল দেখার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd এ যান।
- মেনু থেকে নোটিশ অপশনে প্রবেশ করুন।
- “প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল” অপশন এ ক্লিক করুন।
- পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করুন। ডাউনলোড করা শেষ হলে পিডিএফ ফাইল ওপেন করুন।
- আপনার আবেদনপত্রে প্রদত্ত রোল নম্বর দিয়ে সার্স করুন।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রার্থীদের আবেদনপত্রে প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে SMS এর মাধ্যমে জানানো হবে। এছাড়াও, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও ফলাফল প্রকাশ করা হবে।