নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের তালিকা প্রেরণ
বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের তালিকা প্রেরণ।
উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, সারাদেশের বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান আছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়ের তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে তীর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিভিন্ন সময়ে যে সকল বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে তার মধ্য থেকে চাহিদা/প্রয়োজনীয়তা অনুসারে তাঁর জেলার জন্য অগ্রাধিকারের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ ৫টি (পাঁচটি) বিদ্যালয়ের একটি অগ্রাধিকার তালিকা সংযুক্ত ছকের তথ্যসহ অধিদপ্তরে জরুরীভিস্তিতে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
নতুন বিদ্যালয়ের অগ্রাধিকার তালিকা প্রণয়নের সময় প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা, ক্যাচমেন্ট এলাকার ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা, চতুষ্পার্বের বিদ্যালয়সমূহের দূরত্ব, প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা/দূর্গমতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে অগ্রাধিকার তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। যে সকল এলাকায় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা নগণ্য এবং ভবিষতে বিদ্যালয় নির্মাণের প্রয়োজন নেই সে সকল এলাকার কোন বিদ্যালয়ের প্রস্তাব অগ্রাধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। অগ্রাধিকার তালিকা নির্ধারণের সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার/জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, অগ্রাধিকার তালিকার ১ নম্বর বিদ্যালয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত এবং ক্রমানুসারে ৫ নম্বর বিদ্যালয়টি এ তালিকার সবচেয়ে কম অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত মর্মে বিবেচনা করা হবে।
ইতোপূর্বে প্রেরিত প্রস্তাবে সংযুক্ত ছকের তথ্য সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রেরণ করা হয়ে থাকলে বর্তমানে উক্ত কাগজপত্র পুনরায় প্রেরণ করার প্রয়োজন নাই।
বর্ণিতাবস্থায়, বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত বিদ্যালয়সমূহের আবেদনসমূহ যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষ্যে পত্রের সাথে সংযুক্ত সকল যাচিত তথ্যের নির্ভুল হার্ড কপি ও সফটকপি (ইমেইল ঠিকানায়) আগামী ০৬ জুলাই ২০২৩ তারিখের মধ্যে পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) বরাবর জরুরীভিস্তিতে প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
উল্লেখ্য, এ তারিখের মধ্যে প্রস্তাব প্রেরণ না করলে সংশ্লিষ্ট জেলায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা নাই মর্মে ধরে নেয়া হবে এবং প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিদ্যালয়ের জ্লো অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ
বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় প্রাপ্ত আবেদনসমুহ যাচাই-বাছাই এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ:
- প্রস্তাবিত উপজেলায় কতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কতটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে?
- সংশ্লিষ্ট উপজেলায় বিদ্যালয়বিহীন কোন গ্রাম রয়েছে কিনা? থাকলে গ্রামের নাম:
- প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের জন্য জমির পরিমান কত?
- জমিদাতার নাম, ঠিকানা ও নম্বর
- প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের জমি সংক্রান্ত কোন অভিযোগ বা মামলা আছে কিনা?
- জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন আছে কিনা?
- প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের জমিতে মাটি ভরাটের প্রয়োজন আছে কিনা? মাটি ভরাটের প্রয়োজন থাকলে তার প্রাক্কলিত মূল্য:
- উপজেলা/গ্রামের মূল সড়কের সাথে প্রস্তাবিত বিদ্যালয়টির সংযোগ সড়ক আছে কিনা?
- প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের চতুষ্পাথ্বের (উত্তর, দক্ষিণ,পূর্ব, পশ্চিম) নিকটতম প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের নাম, দূরত্ব ও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা
- প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের দুই কিলোমিটার দূরুত্বের মধ্যে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে কিনা? থাকলে সেক্ষেত্রে কোন প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা বা দূর্গমতা রয়েছে কিনা?
- প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের গ্রাম/ মৌজার জনসংখ্যা কত?
- প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার জনসংখ্যা কত?
- প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত (বয়স ৫ থেকে ১০+ বছর)?
- প্রস্তাবিত বিদ্যালয় এবং চতুম্পান্বের নিকটতম প্রাথমিক
- প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের অবস্থান এলজিইডি কর্তৃক প্রণয়নকৃত -এ চিহ্নিত “ এর এলাকার মধ্যে রয়েছে কিনা?
- প্রদন্ত সকল তথ্য সঠিক মর্মে উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার প্রত্যয়ন দিবেন.
এর আগে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রতি দুই কিলোমিটার এলাকায় একটি করে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় (mopme gov bd) সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।