DPE Notice

প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি: উপবৃত্তি পোর্টালে নতুন শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রির নিয়ম 2023

প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি। এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের স্কুলগমন এবং ঝরে পড়া রোধ করা হয়। 

উপবৃত্তি কর্মসূচির লক্ষ্য:

  • দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের স্কুলগমন নিশ্চিত করা
  • শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নত করা
  • শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন করা

প্রাথমিকের উপবৃত্তি কার্যক্রম

উপবৃত্তি দেয়ার কার্যক্রম ২০০২ সালে শুরু হয়েছিল। বর্তমানে এটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (DPE) দ্বারা বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত, যার মধ্যে তৃতীয় পর্যায়টি বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন।

তৃতীয় পর্যায়ে, দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির হার তাদের শ্রেণী অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক উপবৃত্তির হার ৭৫ টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ১২৫ টাকা এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫০ টাকা।

প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণ

আগে উপবৃত্তি বিতরণ করা হতো স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমানে এটি ডিজিটাল মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি করার পর সেখান থেকে উপবৃত্তির চাহিদা প্রস্তুত করা হয়। উপবৃত্তের চাহিদা প্রস্তুত করে সেটি অনুমোদন করলে শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে উপবৃত্তি চলে যায়।

উপবৃত্তির তথ্য এন্ট্রি

শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি তথ্য এন্ট্রি করা হয় বিদ্যালয় পর্যায়ে থেকে। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ তাদের ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে উপবৃত্তি পোর্টালে লগইন করে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি করেন।

শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি তথ্য এন্ট্রি লিংক হচ্ছেঃ pesp finance gov bd

Pesp mis software এ তথ্য এন্ট্রির সময়সীমা

 সংশ্লিষ্ট রিজারগণের সদয় অবগতি এবং কার্যে জানাতন যাচ্ছে যে আগামী ৪/৯/২০২৩ খ্রিস্টাব্দ হতে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত নতুন শিক্ষার্থীদের ডাটা এন্ট্রি, যাচাই-বাছাই ও অনুমোদন কার্যক্রম পরিচালনা নিমিত্তে  উপবৃত্তি পোর্টালের সংশ্লিষ্ট মডেল এবং অপশন নিম্ন বর্ণিত সময় অনুযায়ী খোলা থাকবে- 

  1. ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের তথ্য এন্ট্রির সময় সীমা: ০৪/০৯/২০২০ থেকে ০৭/০৯/২০২৩ তারিখ। 
  2. খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও  সিলেট বিভাগের তথ্য এন্ট্রির সময় সীমা: ০৮/০৯/ ২০২৩ থেকে ১১/০৯/ ২০২৩ তারিখ। 

সপ্তাহে প্রতিদিন শুক্র এবং শনিবার সহ সকাল ৯ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত উপবৃত্তির নতুন ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম চলমান থাকবে।

 উত্তর সময়ের মধ্যে বিনা ব্যর্থতায় সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণকে উপবৃত্তি ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

উপবৃত্তির তথ্য এন্ট্রি করার ধাপসমূহ

সাধারণত প্রতি বছর কয়েকটি ধাপে উপবৃত্তি তথ্য প্রদান করা হয়ে থাকে। নতুন শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি, পুরাতন শিক্ষার্থীদের শ্রেণী হালনাগাদ এই দুটি কাজ করা হয়ে থাকে প্রতি বছর।

উপবৃত্তি পোর্টালে নতুন শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি প্রক্রিয়া

  • আপনার মোবাইলের ব্রাউজার থেকে উপবৃত্তি পোর্টালের লিংকে প্রবেশ করুনঃ pesp finance gov bd
  • এরপর প্রধান শিক্ষকগণ তাদের ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন অপশনে ক্লিক করুন। ( ইউজার আইডি হিসেবে pemis এর ব্যবহৃত ইউজারনেম বা মোবাইল নম্বর এবং উপবৃত্তি পোর্টালের পাসওয়ার্ডটি ব্যবহার করুন).
  • এখন আপনি বাম পাশে ড্যাশবোর্ডে প্রাথমিক নির্বাচন অপশন এ ক্লিক করুন.
  •  এই অপশন থেকে নতুন শিক্ষার্থী তথ্য এন্ট্রি এই অপশনে প্রবেশ করুন।
উপবৃত্তি পোর্টালে নতুন শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রির নিয়ম
উপবৃত্তি পোর্টালে নতুন শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রির নিয়ম

এখন আপনি শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রদান করার জন্য একটি ছক দেখতে পারবেন। উক্ত ছকের শিক্ষার্থীদের যথাযথ তথ্য দিয়ে পূরণ করুন। উপবৃত্তি তথ্য ছক যথাযথভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে সংরক্ষণ বাটনে ক্লিক করুন এবং সংরক্ষণ করুন। এই পদ্ধতিতে আপনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির তথ্য এন্ট্রি করতে পারবেন।

উপবৃত্তি সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর:

ডুপ্লিকেট জন্মনিবন্ধ লেখা আসলে কি করবো?

  • ডুপ্লিকেট জন্মনিবন্ধ লেখা আসলে যথাক্রমে  বিদ্যালয়/সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের আইডি থেকে  জন্ম নিবন্ধন নাম্বার লিখে সার্চ দিলে শিক্ষার্থীর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।পরে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

যে সকল শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে এখন নেই তাদের শ্রেণি হালনাগাদ কি করতে হবে?

  • যে সকল শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে এখন আর নেই তাদের কোন প্রকার আপডেট করার প্রয়োজন নাই। ট্রান্সফার অপশন চালু হলে ট্রান্সফার করে দিতে হবে তাদের। তবে ২০২২ এর (১ম -৫ম শ্রেণী) পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ৫ম শ্রেনীর এবং (১ম -৮ম শ্রেণী) পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠচক্র সমাপ্ত সিলেক্ট করে ক্লাস্টারে প্রেরণ করতে হবে।

লগইন এক্ষেত্রে সেভ করা পাসওয়ার্ড ব্যবহারের সুযোগ ও ক্যাপচা পরিহার করা হবে কিনা? 

  • যেভাবে আছে সেভাবে থাকবে । একটি ব্রাউজারে একই সময়ে একজন কাজ করবেন

প্রধান শিক্ষক বদলি হওয়ায় আইডি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা ঝামেলা

অনেক প্রধান শিক্ষক বদলি হওয়ায় /অবসরে যাওয়ায় পূর্বের আইডি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা ঝামেলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে পরবর্তীতে চলমান আইডি দিয়ে প্রবেশের সুযোগ দেবার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

  • সব ক্ষেত্রে পেমিসের পাসওয়ার্ড ব্যবহারের সুযোগ করা যেতে পারে। তাহলে স্থানীয় পর্যায়ে পাসওয়ার্ড রিসেটের সু্যোগ থাকে। পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা রাখা। এ বিষয়ে কার্যক্রম নেয়া হবে শিঘ্রই।
  •  পাসওয়ার্ড কী টাইপ করা হচ্ছে সেটা আই আইকন ক্লিক করে দেখার ব্যবস্থা রাখা। 

ডাটা এন্ট্রির সময় ২৪ ঘণ্টা করা যায় কি না?

  • আপতত সুযোগ নেই।

এবার বিশেষ এন্ট্রির সুযোগ দেওয়া হবে কি?

  • এ বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত/নির্দেশনা  জানিয়ে দেয়া হবে। 

ট্রান্সফার অপশন কবে নাগাদ চালু হতে পারে? 

  • চালু করা হবে

একটি আইডি দিয়ে একই সময়ে একাধিক ইউজার ব্যবহারের সুযোগ না হলে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের সমস্যা হচ্ছে?

  • বিবেচনা করা হচ্ছে।

দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪+ শিক্ষার্থীদের শ্রেণি/শাখার বিষয়ে নির্দেশনা- 

এন্ট্রি দেয়া যাবে আপাতত দুই শাখায় বিভক্ত করে।

ভুল এন্ট্রি অপশন নিয়ে কি সিদ্ধান্ত ? 

  • শ্রেণীতে রিপিটার হলে রিপিটার, আর ভুলের কারণে একই শ্রেণীতে রাখলে ভুল এন্ট্রি দিতে হবে।
  • শ্রেণি হালনাগাদে ভুল হলে সাবমিটের আগে বিদ্যালয় পর্যায়ে সংশোধনের সুযোগ রাখা। 
  • আইবাস করে দিতে চেয়েছেন। তবে এখন ক্লাস্টারে প্রেরণ করে ফেরত এনে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে নিতে পারবেন।

একজন শিক্ষার্থীর নাম অনেক দীর্ঘ হওয়ায় এন্ট্রি নিচ্ছেনা। এক্ষেত্রে করণীয়? 

  • সমাধান হবে শিঘ্রই।

নিস্ক্রিয় শিক্ষার্থী সক্রিয় করার পদ্ধতি কি? 

  • জন্ম নিবন্ধন নাম্বার উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তি বিভাগে পাঠাতে হবে।

যে সকল বিদ্যালয়ে শ্রেণি হালনাগাদে শিক্ষার্থী আংশিক বা সম্পূর্ণ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে করণীয়?

  • আপাতত যেটুকু আছে সে কাজটুকু শেষ করুন। শিঘ্রই মিসিং ডেটা পেয়ে যাবেন।

প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে এবং ভবিষ্যতে উন্নতি করার সুযোগ পায়। 

Nirob

আমি নিরব। এটি আমার বাংলা শিক্ষা বিষয়ক ওয়েবসাইট। যেখানে আমি প্রতিনিয়ত শিক্ষা ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিষয়ে লেখা প্রকাশ করি।